তারকেশ্বর মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশাধিকারের সময়সীমা বাড়লো

21st June 2021 11:59 am হুগলী
তারকেশ্বর মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশাধিকারের সময়সীমা বাড়লো


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  তারকেশ্বর মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশের সময়সীমা বাড়ালো মন্দির কর্তৃপক্ষ। সকাল ৬টা থেকে বেলা ১ এবং বিকাল ৬ থেকে রাত ৮ পর্যন্ত মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন ভক্তরা। গতকাল পর্যন্ত এই সময় সীমা ছিল শুধুমাত্র সকাল ৭ টা থেকে ১২ অবধি। তবে মন্দিরের গর্ভগৃহে এখনো প্রবেশ করতে পারবেন না যাত্রীরা। বহাল থাকলো করোনা সংক্রান্ত পুরানো  সমস্ত বিধি নিষেধ। উল্লেখ‍্য করোনা সংক্রমন ক্রমশ কমতে থাকায় গত ৩রা জুন থেকে  মন্দিরের দরজা খোলা হয় ভক্তদের জন‍্য। নিয়ম  ছিল সকাল ৭ থেকে ১২ টা পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারবেন ভক্তরা। সংক্রমনের হার ক্রমশ নিম্নমুখী হওয়ায় পুনরায় মন্দিরে প্রবেশের সমসসীমা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে করোনা সম্পর্কিত সমস্ত বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে যাত্রীদের । মাস্ক পড়ে মন্দিরে ঢোকা বাধ‍্যতামূলক। গর্ভগৃহ বন্ধ তাই বাইরে চোঙাতেই জল, বেলপাতা  ঢালতে হবে ভক্তদের। ২টি গেট-ই খোলা থাকবে মন্দিরের। আর এক মাস পরে শ্রাবনী মেলা শুরু হবার কথা। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় বলে গতবছর মেলা বন্ধ রেখেছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। তবে এবছর মেলা করা যাবে কিনা তা অবশ‍্য এখনো মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি।


 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।